প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৩
ব্যবসায়ী ফয়েজ আহমদ মন্টু আর নেই
চাঁদপুর শহরে প্রগতিশীল মনের একজন মানুষ, অনেকেরই পরিচিতজন, পুরাণবাজারের ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ফয়েজ আহমদ মন্টু আর বেঁচে নেই। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৪) মাগরিব নামাজের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনি, ভাই-বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
|আরো খবর
ফয়েজ আহমদ মন্টু ভূঁইয়ার মৃত্যুর খবরে সর্বমহলের শোকের ছায়া নেমে আসে।
তিনি ছিলেন চাঁদপুর পুরাণবাজার ডাকঘরের প্রাক্তন পোস্টমাস্টার মরহুম মিছির আলী ভূঁইয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তান।
চাঁদপুর লেখক পরিষদ ও জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শোক
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।। চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার একুশ উদযাপন পরিষদের সভাপতি, নদী ভাঙ্গন সংগ্রাম কমিটির নেতা, সমাজসেবক ও সংগঠক ফয়েজ আহম্মেদ মন্টুর মৃত্যুতে চাঁদপুর লেখক পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র মজুমদার এবং জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ রানা যৌথ বিবৃতিতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফয়েজ আহম্মেদ মন্টু একজন সমাজহিতৈষী। মেঘনার ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর-হাইমচর রক্ষার জন্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। পুরাণবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্যে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে পন্টুন নির্মাণ সংগ্রামের অন্যতম উদ্যোক্তা। তিনি পুরাণবাজারের ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এবং পুরাণবাজারের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উজ্জীবিত করতে বিভিন্ন সময় ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। পুরাণবাজারের শহিদ মিনার নির্মাণের আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ফয়েজ আহম্মেদ মন্টুর মৃত্যুতে চাঁদপুরবাসী একজন প্রগতিশীল এবং নিবেদিত মানুষ হারালো। তাঁর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।